Pages

Wednesday, April 30, 2014

হজ্জ্বের প্রয়োজনীয়তা: নির্ভরযোগ্য হজ্জগ্রুপের সাথে হজ্জ্ব পালন করুন

হজ্জ্বের প্রয়োজনীয়তা:
নির্ভযোগ্য হজ্জগ্রুপের সাথে হজ্জ্ব পালন করুন

হজ্জ্বে সামর্থবান সমস্ত মুসলিমবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
হজ্জ্ব দ্বীন ইসলামের পঞ্চম রুকন। আর্থিকভাবে সচ্ছল, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ প্রত্যেক বালেগ মুসলমানের উপর হজ্জ্ব ফরজ। যাদের উপর হজ্জ্ব ফরজ হয় যেকোন বাহানায় বা অবহেলায় তাদের হজ্জ্ব পালন না করার পরিণতি ভয়াবহ।  আল্লাহ তা’লা কালামে পাকে বলেন: “আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার মত সামর্থ যার আছে, হজ্জ করা তার উপর আল্লাহর একটি অনিবার্য নির্দিষ্ট হক। এতদসত্ত্বেও যে তা অমান্য করবে সে কাফের এবং আল্লাহ দুনিয়া জাহানের মুখাপেক্ষী নন” (সুরা আল-ইমরান:৯৭ আঃ)। এআয়াতে হজ্জ্ব করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্জ্ব না করাকে পরিষ্কার কুফরী বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে রাছুলুল্লাহ (সাঃ) দু’টি সুপরিচিত হাদীসে বলেন: 
مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلَا عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا
“আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার জন্য পথের সম্বল এবং বাহন যার আছে সে যদি হজ্জ না করে, তবে এ অবস্থায় তার মৃত্যু ইহুদী ও নাসারার মৃত্যুর সমান বিবেচিত হবে।” [তিরমিযী]
مَنْ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ الْحَجِّ حَاجَةٌ ظَاهِرَةٌ أَوْ سُلْطَانٌ جَائِرٌ أَوْ مَرَضٌ حَابِسٌ فَمَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ فَلْيَمُتْ إِنْ شَاءَ يَهُودِيًّا وَإِنْ شَاءَ نَصْرَانِيًّا
“যার কোন প্রকাশ্য অসুবিধা নেই, কোন যালেম বাদশাহও যার পথ রোধ করেনি এবং যাকে কোন রোগ অসমর্থ করে রাখেনি- এতদসত্ত্বেও সে যদি হজ্জ না করেই মারা যায়, তবে সে ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হয়ে মরতে পারে”(মুুসনাদে দারিমী)।  হাসান (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিঃ) বলেছেন, আমার ইচ্ছা হয় এসব শহরে লোক পাঠিয়ে খবর নিই, যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্জ্ব সমাপন করছে না তাদের উপর জিযিয়া ধার্য করি। ওরা মুসলিম নয়, ওরা মুসলিম নয়-(মুনাতাকী, রাহে আমল)। একবার যদি কেউ হজ্জ্ব পালনে সমর্থ হয়ে যায়, তারপর যদি কোন কারণে অসমর্থ হয়ে পড়ে তখনও তার উপর হজ্জ্বের ফরযিয়াত থেকে যায়। কাজেই হজ্জ্বে সমর্থ হওয়ার পর তাড়াতাড়ি হজ্জ্ব পালন করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হজ্জ্বের ইচ্ছা পোষণকারী যেনো তাড়াতাড়ি যেন তা সম্পন্ন করে ফেলে। কেননা সে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, তার উট হারিয়ে যেতে পারে, তার ইচ্ছা বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়তে পারে (ইবনে মাজাহ) ।

হজ্জ্বে সামর্থবান সমস্ত মুসলিমবৃন্দ,
এখন প্রশ্ন হল- কিভাবে হজ্জ করা যায়? হজ্জ সরকারী ও বেসরকারী দুই ব্যাবস্থাপনাতেই হজ্জ্ব করা যায়। যারা বেসরকারী ব্যবস্থাপনাতে হজ্জ্ব করতে চান তাদের কোন নির্ভরযোগ্য হজ্জগ্রুপের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।  বর্তমানে অনেক হজ্জ্বগ্রুপ আছে। কিছু হজ্জগ্রুপের আয় একমাত্র হজ্জ্ব-উমরাহ সংক্রান্ত কাজ থেকেই হয়ে থাকে।  এদের মধ্যে কিছু সৎ নয়। তাদের দ্বারা হাজীরা প্রতারিত-কষ্ট পেয়ে থাকেন। এমনও হয় তারা হাজীদের কোরবানীর টাকাও আত্বসাৎ করে থাকে। অতএব কিছু কম টাকার অফারে প্রলুব্ধ হয়ে নিজেদের এসব হজ্জগ্রুপে সামিল করা জেনেশুনে নিজেদের হজ্জ্বকে নষ্ট করার সামিল। 

আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তমরূপে হজ্জ্ব পালনের তৌফিক দান করুন, আমীন।

Tuesday, April 22, 2014

হজ্জ্ব নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, আলোচক: শায়খ আব্দুর রব আফ্ফান



হজ্জ্বের উপকারিতা:


হজ্জ্বের শিক্ষা:


 বিঃদ্রঃ এই পোষ্টে ভিডিও আছে। যদি ভিডিও দেখা না যায় তাহলে আপনার কম্পিউটারে Adobe flash player ইনস্টল সেটাপ করুন । গুগুলে যেয়ে Adobe flash player লিখে সার্চ করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।


Friday, April 18, 2014

হজ্জ্ব ও ওমরার দোয়া সমূহ

হজ্জ্ব ও ওমরার দোয়া সমূহ

হজ্জ্বে তাওয়াফ , সায়ী, আরাফাতের ময়দান ইত্যাদিতে প্রাণভরে নিজের ইচ্ছামত দোয়া করা যায়। কিছু নির্দিষ্ট দোয়াও আছে। যারা বলে-‘আমরা হজ্জ্বে গেছি-হজ্জে কোন দোয়া নাই’ তারা মিথ্যা বলে, না হয় হজ্জ্বে করেনি, না হয় দোয়া কি জানে না, না হয় হজ্জ্বকে অন্যান্য ভ্রমনের মত অতিবাহিত করেছে।  আবার বলছি- হজ্জ্বে তাওয়াফ , সায়ী, আরাফাতের ময়দান ইত্যাদিতে প্রাণভরে নিজের ইচ্ছামত দোয়া করা যায়। যেসব নির্দিষ্ট দোয়া আছে সেসব এখানে কিছু দেয়া হল-  

Hajj & Umrah Duas At all times:

Hajj & Umrah Duas Niyyah:

Hajj & Umrah Duas At the Meeqat:

Hajj & Umrah Dua The Talbiyah:

Hajj & Umrah Duas On Seeing the Kabah:

Hajj & Umrah Duas Tawaf-Saee-Arafah:

Hajj & Umrah Duas Starting at Hajr Aswad:

Hajj & Umrah Duas Towards the end of each round:

Hajj & Umrah Duas Arafah and all times:

এখানে কিছু দেয়া হল। প্রয়োজনীয় দোয়াগুলো আলেম-ওলামার সহযোগিতা নিয়ে শিখে নেবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ কেউ দোয়া অস্বীকার করে, আবার কেউ কেউ প্রতি তাওয়াফ-সায়ী ইত্যাদিতে বিশাল বিশাল দোয়া তাদের বইতে ভর্তি করে দিয়ে রেখেছে। এসব দেখে কেউ কেউ হজ্জ করতে অনীহ হয়ে পড়ে। এসবও ঠিক নয়। আবার বলছি- হজ্জ্বে তাওয়াফ , সায়ী, আরাফাতের ময়দান ইত্যাদিতে প্রাণভরে নিজের ইচ্ছামত দোয়া করা যায়। এমনকি নিজের ভাষায় নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছা মত দোয়া করা যায়।  আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে হজ্জ করার তৌফিক দান করুন, আমীন।

Related Link:

হজের দোয়াসমূহ

হজ্জ্ব  এর ছবি: ঈমানদারদের জন্য প্রাণজুড়ানো ছবি- দেখুন প্লীজ



বিঃদ্রঃ এই পোষ্টে ভিডিও আছে। যদি ভিডিও দেখা না যায় তাহলে আপনার কম্পিউটারে Adobe flash player ইনস্টল সেটাপ করুন । গুগুলে যেয়ে Adobe flash player লিখে সার্চ করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।

Friday, March 28, 2014

হজ্জ্বের মাসলা-মাসায়েল, এক নজরে হজ্জ্বের চিত্র এবং মদিনার মানচিত্র

হজ্জ্বের মাসলা-মাসায়েল, এক নজরে হজ্জ্বের চিত্র এবং মদিনার মানচিত্র


হজ্জ্বের মাসলা-মাসায়েল:

এক নজরে হজ্জ্বের চিত্র:

মদিনার মানচিত্র:




Thursday, March 6, 2014

আজ হজে কাফির-মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণার দিবস

আজ হজে কাফির-মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণার দিবস


আজ হজযাত্রীরা  পবিত্র হজ্বের  একটি ফরজ বা অবশ্য-পালনীয় অনুষ্ঠান হিসেবে কাফির-মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেবেন  পবিত্র মক্কায়। 

সুরা তওবার প্রথম আয়াতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি বছর হজের সময় এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়।  এই আয়াতে বলা হয়েছে, بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى الَّذِينَ عَاهَدْتُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
- সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।

উল্লেখ্য, মহান আল্লাহর আদেশে এই আয়াতটি হজের অনুষ্ঠানে পড়ে শোনানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বনবী (সা.)। আর ওই নির্দেশের ভিত্তিতে  আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.) তা পড়ে শোনান।   সেই থেকে পবিত্র মক্কায় ও কাবাঘরের আশপাশে কাফির-মুশরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিল।

পবিত্র কুরআনে সুরা মায়েদার ৫১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানকে বন্ধু বানাবে না। তারা অর্থাত ইহুদি ও খ্রিস্টানরা পরস্পরের বন্ধু। আর যে তাদের সাথে মিতালী বা বন্ধুত্ব করবে সে অবশ্যই তাদের বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হেদায়াত করেন না। 

শয়তান ও খোদাদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ এবং ইসলামী ঐক্য জোরদার হজ্জের অন্যতম উদ্দেশ্য। আর এ জন্যই হজযাত্রীরা শয়তানের প্রতীকি স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপ করে থাকেন।

হজ্জ্ব এর ছবি: ঈমানদারদের জন্য প্রাণজুড়ানো ছবি- দেখুন প্লীজ

হজ্জ্ব  এর ছবি: ঈমানদারদের জন্য প্রাণজুড়ানো ছবি- দেখুন প্লীজ

হজ্বের ছবিগুলো আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম । ২০১০ সালের হজ্জ্ব  এর ছবি । সেই বছর রেকর্ড সংখ্যক হজ্জ যাত্রী হজ্জ্ব করতে গিয়েছিলেন যা ছিল অপ্রত্যাশিত । ৩.৪ মিলিয়ন হজ্জ্বযাত্রী ৫দিন ধরে হজ্জ্ব পালন করেন ।

১। প্রার্থনারত অবস্থায় আল নূর পর্বতের উপরে একজন হজ্জ্বযাত্রী  ।

২। সৌদি আরব এর পবিত্র শহর মক্কা নগরীর নূর পর্বতের উপরে থেকে তোলা একটি অসাধারণ দৃশ্য ।
৩। জাবালে নূর: সৌদি আরবের মক্কা আল-মুকাররমার অন্যতম একটি ঐতিহাসিক পাহাড়। এটি ক্বাবা ঘরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব লাভ করার কারণ হচ্ছে, নবী মুহাম্মদ এ পাহাড়ের গুহায় আল্লাহর ইবাদত করেন এবং প্রথম ওহী লাভ করেন
মানুষ হেরা গুহায় প্রবেশ করছে

৪। একজন হজ্জযাত্রী তছবী পড়ছেন ।

৫। 

৬।


৭।হাজার হাজার হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য  ঘনবসতিপূর্ণ তাঁবু  যা মক্কার কাছাকাছি মিনায় অবস্থিত ।


৮। মুসলিম হজ্জ্বযাত্রীরা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত বৃহত্তর মসজিদের বাইরে নির্মিত রাস্তায় হেটে যাচ্ছেন ।  
http://i.imgur.com/o5AJX.jpg

৯। আরাফাত পর্বতের পাথুরে পাহাড় মুসলিম হজ্জ্বযাত্রীদের যেতে দেখা যাচ্ছে ।  
http://i.imgur.com/TPhb8.jpg

১০। হাজার হাজার হজ্জ্বযাত্রীদের  মাঝখানে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যাচ্ছে সৌদি পবিত্র শহর মক্কা এর দক্ষিণপূর্ব, আরাফাত পর্বতের নিকট নামিরা নামক মসজিদে। মহানবী (সা: ) এখানেই বিদায় হজ্জ্বের ভাষণ দিয়েছিলেন । এই দিনে হজ্জ্বযাত্রীরা কুরআন পাঠ করেন ।
http://i.imgur.com/Kga7I.jpg 

১১। সৌদি আরবের মক্কা কাছাকাছি নামিরা মসজিদের বাইরে মুসলিম হজ্জ্বযাত্রীরা প্রার্থনারত অবস্থায়
http://i.imgur.com/2KXIB.jpg

১২। হজ্জযাত্রীরা নামিরা নামক মসজিদে নামায আদায় করছেন । 
http://i.imgur.com/WToLC.jpg

১৩। একজন মুসলিম পুরুষ নূর পর্বতের উপর হেরা গুহা পরিদর্শন করছেন ।  
http://i.imgur.com/iAbLY.jpg

১৪। পবিত্র মক্কা শহরের বাইরে আরাফাত পর্বতের উপর একজন হজ্জ্বযাত্রী তার কন্যাকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন ।  
http://i.imgur.com/xYTRv.jpg

১৫। সৌদি আরব,মক্কার কাছাকাছি আরাফাত পর্বতের পাশে হজ্জ্বযাত্রীরা প্রার্থনায়রত ।
http://i.imgur.com/ySqwl.jpg 

১৬।  সৌদি আরব,মক্কার কাছাকাছি আরাফাত পর্বতে আরোহন করছেন হজ্জ্বযাত্রীরা
http://i.imgur.com/Sg5P1.jpg

১৭। একজন হজ্জ্বযাত্রী আল নূর পর্বতের উপর কুরআন পাঠ করছেন ।  
http://i.imgur.com/NSQpS.jpg

১৮। হজ্জ্বযাত্রীরা মক্কার কাছাকাছি মিনাতে বিশ্রাম নিচ্ছেন  ।  
http://i.imgur.com/zwyHN.jpg

১৯। জাবাল আল রাহমা নামক খুঁটিতে মাথা ঠেকিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন একজন হজ্জ্বযাত্রী ।  
http://i.imgur.com/LdDZX.jpg





২০। জাবাল আল রাহমা স্তম্ভে হজ্জ্বযাত্রীরা স্পর্শ এবং লিখছেন ।
http://i.imgur.com/46bsZ.jpg 

২১। আরাফাত পর্বতের উপর হজ্জ্বযাত্রীর নামায আদায় করছেন ।
http://i.imgur.com/s8jr9.jpg

২২। সূর্যাস্তের সময় একজন মুসলিম পুরুষ আরাফাত পর্বতের উপর প্রার্থনা করছেন 
http://i.imgur.com/SH88J.jpg

২৩। নূর পর্বতের উপরে দাড়িয়ে একজন মুসলিম কোথায় হেরা গুহা তা দেখছেন ।  
http://i.imgur.com/GN1IC.jpg

২৪। আবরাজ আল বাঈত টাওয়ার উপর হতে বৃহত্তর মসজিদ এবং  চার মুখবিশিষ্ট ঘড়ি দেখা যাচ্ছে  
http://i.imgur.com/p1wyd.jpg

২৫। সদ্য সমাপ্ত আবরাজ আল বাইত টাওয়ারস এর উপরে বৃহদায়তন নতুন ঘড়ি । 
http://i.imgur.com/pM0JK.jpg 

২৬। বৃহত্তর মসজিদের কেন্দ্রে মুসলিম হজ্জ্বযাত্রীদের বৃত্ত  
http://i.imgur.com/nfx2U.jpg

২৭। কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতরে সহস্রাধিক মুসলিম হজ্জ্বযাত্রী নামাযরত অবস্থায়  
http://i.imgur.com/1yNqo.jpg

২৮। শুক্রবারে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে হজ্জ্বযাত্রীদের নামাযের একাংশ ।  
http://i.imgur.com/X3ApU.jpg

২৯। ছায়া এবং সূর্যরশ্মি, হাজার হাজার মুসলিম হজ্জ্বযাত্রীদের মসজিদের ভেতরে প্রার্থনারত অবস্থায়
http://i.imgur.com/qgygl.jpg  

৩০। কাবার চারপাশে হাটার কাজ সম্পাদন করে হজ্জ্বযাত্রীরা কাবা শরীফের সোনার দরজা স্পর্শ করছেন 
http://i.imgur.com/bdWt8.jpg

। একজন মুসলিম হ্জ্জ্বযাত্রী নূর পর্বতের উপরে প্রার্থনায়রত ।
http://i.imgur.com/KCnup.jpg

৩২। কাবার মসজিদের উপরের তলায় প্রাথৃনারত অবস্থায় একজন হাজ্জী
http://quransunnahralodotcom.files.wordpress.com/2013/09/shuaib_dua.jpg



৩৫।হজ্জ্বে বিভিন্ন স্থানে দোয়ারত কিছু ছবি নীচে দেয়া হল:

Hajj 2013

Hajj 2013









































































Source: http://forum.projanmo.com and others
বিঃ দ্রঃ - উপরের ছবিগুলো দেখুন- এখানে অনেকগুলো ছবিই দোয়ারত। যারা বলে “আমরা হজ্জ্বে গেছি-সেখানে দোয়া নাই” তারা যে সঠিক বলে না তা বলাই বাহুল্য। 

Sunday, March 2, 2014

হজের দোয়াসমূহ

হজের দোয়াসমূহ


পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ'র নামে শুরু করছি। আসসালামু আলাইকুম।

ইসলামের মৌলিক পাঁচটি ফরযের অন্যতম হলো আল্লাহ'র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য হজ্জ পালন করা। গুরত্বপূর্ণ এই ফরয যথাযথভাবে আদায়ের লক্ষ্যে প্রত্যেক হজ্জ প্রত্যাশীরই হজ্জের নিয়মাবলী ও মাসায়িল সঠিক ভাবে জেনে নেয়া অবশ্য কর্তব্য হজ্জের সফর নিয়ে মানুষের মাঝে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। কিছু কিছু ধারণার কারণে হজ্জের সফর মানুষের কাছে একটি কষ্টকর ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
একটি বহুল প্রচলিত ধারণা হচ্ছে হজ্জে গেলে অনেক "দুআ" জানা লাগে। এই "দুআ" মুখস্ত করার ভয় অনেকের জন্যেই নিরুৎসাহ প্রদান করে থাকে। কিন্তু আসলে এই ধারণাটি একেবারেই অবান্তর। একজন হজ্জ প্রত্যাশীর অবশ্য কর্তব্য হবে হজ্জের আমলগুলোর মাঝে কোনটি ফরয, কোনটি সুন্নত, কোনটি ওয়াজিব ও কোনটি নফল তা সঠিক ভাবে জেনে নেয়া।
বাংলাদেশে অনেক বইতেই দেখা যায় তাওয়াফ (নিয়ম অনুসারে কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করা) ও সায়ী (নিয়ম অনুসারে সাফা-মারওয়া পাহাড় যাওয়া আসা) এর "প্রতি চক্করের জন্য" দীর্ঘ দুআ বর্ণনা করা। এই দুআ দেখে অনেককেই ঘাবড়ে যেতে দেখা যায়। দ্বীনের যে কোন ক্ষেত্রেই আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম কে অনুসরণ করবো। তাওয়াফ ও সায়ীর সময়ে প্রতি চক্করে আলাদাভাবে যেই দীর্ঘ দুআ গুলো বিভিন্ন হজ্জ গাইডে উল্লেখ করা আছে, সহীহ হাদীসে সেগুলোর বর্ণনা পাওয়া যায়না।
সম্পূর্ণ হজ্জের সফরে একটি দুআ ব্যাতীত আর কোন দোয়া নেই যা আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে। তবে হ্যা, সুন্নাহ অনুসারে আপনি অন্যান্য দোয়া করতে পারেন, সেক্ষেত্রে যিনি সুন্নাত পালন করছেন, তিনি সুন্নতের সওয়াব পাবেন, ইনশাল্লাহ। আর সুন্নত পালনের মর্তবা অনেক উপরে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'লা ইরশাদ করেছেনঃ
যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করে সে প্রকৃতভাবে আল্লাহর-ই আনুগত্য করে (সূরা নিসাঃ৮০)
হজ্জের সফরে প্রতিটি কাজে আমরা চেষ্টা করবো রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম কে অনুসরণ করার। যেমন তাওয়াফ এর সময় রুকনে ইয়ামীনী কর্ণার থেকে হাজরে আসওয়াদ এ যাওয়ার সময় রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম থেকে নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ার বর্ণনা রয়েছেঃ (আবু দাঊদ, ১:২৬০/ বাইহাকী, ৫:১৩৭)

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ


[البقرة :201]
নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম) যে সকল দোয়া পড়তেন তা পরবর্তী পর্বগুলোতে আসবে, ইনশাল্লাহ।
এবার জেনে নেয়া যাক সেই দুআ সম্পর্কে যেটা হজ্জের সফরে অবশ্য পাঠ্য। এই দুআটি অনেকেই ছোটবেলা থেকে শুনতে শুনতে মুখস্তও করে ফেলেন!
দুআটিকে বলা হয় "তালবিয়া"।

বুখারী (১:১১০), মুসলিম (১:৩৭৫), তিরমিযী (১:১৬৯) ও অন্যান্য হাদীসগ্রন্থে বর্ণীত তালবিয়ার শব্দগুলো নিম্নরূপঃ


لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَشَرِيْكَ لَكَ


লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাই্কা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়া'মাতা লাকাওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক।
অর্থঃ আমি উপস্থিত আয় আল্লাহ! আমি উপস্থিত, আমি উপস্থিত, আপনার কোন শরীক নাই, আমি উপস্থিত; নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও সকল নিয়ামত আপনারই, আর রাজত্বও আপনার; আপনার কোন শরীক নাই।
(এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলা হরফে তালবিয়ার উচ্চারণ লিখলে অর্থ ও উচ্চারণ বিকৃত হয়ে যায়, এ জন্যে বাংলায় উচ্চারণ পড়ার চেয়ে আরবী থেকে সরাসরি পড়ে নেয়া উচিত। কেউ আরবী পড়তে না পারলে বিশুদ্ধরূপে পাঠকারী থেকে শুনে শুনে তালবিয়া শিখে নিতে সচেষ্ট হবেন। )
তালবিয়া পড়ার ফযীলতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখনই কোনো মুসলিম (হজ্জ বা উমরাহ'র জন্য) তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার ডান ও বাম দিকে পৃথিবী শেষ সীমা পযর্ন্ত যত পাথর, বৃক্ষ ও মাটির চাকা রয়েছে, সব কিছুই তার সাথে তালবিয়া পাঠ করে। (তিরমিযী, ১:১৭০/ইবনু মাজাহ, পৃঃ ২০৯)
এই দুআটি'র অর্থের দিকে যদি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন এই দোয়ার মাধ্যমে আপনি আল্লাহ'র কাছে নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করছেন। বান্দা এই দোয়ার মাধ্যমে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন পরম করুণাময়ের কাছে। এই দোয়ার মাধ্যমে আপনি সেই স্বত্তার কাছে নিজেকে উপস্থিত করছেন, এই বিশ্ব-চরাচরের সমগ্র রাজত্ব যার অধীনে। সেই স্বত্তার কাছে আপনি উপস্থিতি জানাচ্ছেন যার জন্যেই সকল প্রশংসা এবং সকল নিয়ামত যার কাছ থেকেই আমরা পেয়ে থাকি। দোয়াটি পাঠ করার সময় শুধু গড়গড় করে উচ্চারণ না করে, "নিজেকে আল্লাহ তা'লার কাছে বিনীত ভাবে সমর্পণ করছি এবং তার অপার মহিমা ঘোষণা করছি" এই উপলদ্ধি ধারণ করা জরুরী। তালবিয়া পড়ার বিস্তারিত মাসায়িল আরেকটি লেখায় প্রকাশ করা হবে।
তালবিয়া ব্যাতীত হজ্জের কার্যাবলীর মাঝে এমন কোনো দুআ নেই, যা না পড়লে হজ্জ হবেই না। কাজেই আরবী দুআ পড়তে না পারলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই, নিরুৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে দোয়া করতেন আমরাও সেভাবে দোয়া করার চেষ্টা করবো। এবং আল্লাহ তা'লা অবশ্যই আপনার জন্যে তা সহজ করে দিবেন।
দুআ শিখে নিতে কেউ কেউ দেখা যায় তাওয়াফ ও সায়ীর সময় বই নিয়ে যান এবং বিভিন্ন বইয়ে বর্ণীত তাওয়াফ ও সায়ীর "প্রতি চক্করের" জন্যে "ভিন্ন ভিন্ন" দুআ বই দেখে পড়তে থাকেন। কেউ কেউ না বুঝে অতি কষ্টে এই দোয়া পড়তে গিয়ে অযথাই সমস্যার সম্মুখীন হন । বই দেখে বা অন্যের মুখে উচ্চারণ শুনে অশুদ্ধ উচ্চারণে দুআ পড়ে, তার চেয়ে নিজ ভাষায় দু'আ করাই উত্তম।
নিশ্চয়ই আল্লাহ পৃথিবীর সকল ভাষায়ই বোঝেন। অবশ্য কারো যদি আরবী কোন দুআ মুখস্ত থাকে এবং বিশুদ্ধভাবে তা পড়তেও পারে, তবে "অর্থের" প্রতি লক্ষ্য রেখে তা পড়াই ভাল। (আহকামে হজ, পৃঃ৫০-৫১)


Wednesday, February 5, 2014

হজ্জ্ব-ওমাহকারীদের কিছু ভুল: তাওয়াফ এবং আরাফায়(হজ্জ্বে)

হজ্জ্ব-ওমাহকারীদের কিছু ভুল: তাওয়াফ এবং আরাফায়(হজ্জ্বে)

তাওয়াফের সময় হজ ও উমরাকারীদের কতিপয় ত্রুটি:
কা‘বা শরীফের তাওয়াফের সময় কতিপয় হজ ও উমরাকারীদের অনেক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এ ধরনের ভুল ত্রুটিতে আপনি যাতে লিপ্ত না হন সে জন্য তেমনি কিছু ভুলের ব্যাপারে আমরা আপনাকে সতর্ক  করে দিচ্ছি।
-       কতিপয় তাওয়াফকারী কাবার সকল রুকন ( কর্ণার ) এবং হয়ত বা সকল দেয়াল স্পর্শ করে থাকে। তারা মাকামে ইবরাহীম সহ এগুলোকে মাসেহ করে থাকে। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ছাড়া কা‘বার অন্য কোন অংশ স্পর্শ করেন নি।
-       কিছু লোক তাওয়াফের সময় আওয়াজ উচ্চ করে। এতে বাকী তাওয়াফকারীদের অসুবিধা হয়। অনুরূপভাবে হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন করার জন্য এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায়ের জন্য অনেকে প্রচন্ড ভীড় সৃষ্টি করে। এতে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ ঘটে। অনেক সময় গালাগালি ও হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যায়। এমনটি করা জায়েয নেই; কেননা এতে নারী-পুরুষের ফেতনা সৃষ্টি হয় এবং মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। তদুপরি অন্যায়ভাবে কোন মুসলিম তার ভাইকে গালি দেয়া, মারধোর করা কখনোই জায়েয নয়।
মূলত: যে ব্যক্তি আপনার ব্যাপারে ত্রুটি করেছে অথবা আপনার প্রতি দুর্ব্যবহার করেছে তার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শনই হওয়া উচিত এ স্থানে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
-       তাওয়াফকারীদের কেউ কেউ তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করের জন্য বিশেষ দো‘আ নির্ধারণ করে থাকে, যা তারা এ ব্যাপারে প্রণীত গ্রন্থাবলী থেকে পাঠ করে থাকে। এটা নতুন উদ্ভাবিত সে বেদআ’ত সমূহেরই অন্তর্গত দ্বীনের মধ্যে যার কোন ভিত্তি নেই। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তাওয়াফের মধ্যে হাজারে আসাওয়াদের কাছে এসে তাকবীর পড়া ছাড়া অন্য কোন যিকর বা দো‘আ সাব্যস্ত হয়নি। আর প্রত্যেক চক্করের শেষে হাজারে আসাওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মধ্যবর্তী স্থানে তিনি বলতেন :

﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ ﴾ [البقرة: ٢٠١]

“হে আমাদের রব! আপনি দুনিয়ায় আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।’’ [সুরা আল বাক্বারা: ২০১]

সুতরাং প্রথম চক্করের জন্য, দ্বিতীয় চক্করের জন্য, …..  এমনি করে সপ্তম চক্কর পর্যন্ত কোন চক্করের জন্যই বিশেষ কোন দো‘আ পাঠে নিজেকে বাধ্য না করা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণেরই অন্তর্গত। হজ্জ্বে তাওয়াফ , সায়ী, আরাফাতের ময়দান ইত্যাদিতে প্রাণভরে নিজের ইচ্ছামত দোয়া করা যায়। এমনকি নিজের ভাষায় নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছা মত দোয়া করা যায়।

আরাফার দিন হাজীদের যে সকল ভুল হয়ে থাকে :
‘আরাফার দিন কতিপয় হাজীদের পক্ষ থেকে কিছু ভুল সংঘটিত হয়ে থাকে। এ ধরনের কিছু ভুল আমরা আপনার সামনে তুলে ধরছি যেন আপনি তা থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।
১. কতিপয় হাজী সাহেব ‘আরাফার সীমানার বাইরে অবস্থান করেন। অথচ স্পষ্ট চিহ্ন দ্বারা এর সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে সচেতন করা ও দিক-নির্দেশনা দেয়ার ব্যাপারে বহু চেষ্টা- সাধনা করা হয়। কিন্তু তাদের তাড়াহুড়োর কারণে এবং আগেভাগে ‘আরাফা থেকে বের হয়ে যেতে চাওয়ার কারণে এ মহান রুকনটি পালনে তারা ব্যর্থ হয়। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘হজ হল ‘আরাফায়  অবস্থান।’’
২. কোন কোন হাজী পাহাড়ে উঠার জন্য কষ্ট করে এবং পাহাড় ও পাহাড়ের পাথর সমূহ মাসেহ করে থাকে। তাদের বিশ্বাস হল – এ পাহাড়ের এমন বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত রয়েছে যার ফলে সে কাজ করা ওয়াজিব। অথচ এটা এমনই এক বেদ‘আত যা পরিহার করা উচিত। ওয়াজিব তো হল – ‘আরাফার সীমানার ভেতরে যে কোন স্থানে হাজীদের অবস্থান করা।
৩. বহু হাজী ‘আরাফার দিন হাসি, ঠাট্টা ও অনর্থক বাক্যালাপে ব্যতিব্যস্ত থাকে এবং এ মহান স্থানে যিকর, দো‘আ ও ইস্তেগফার করা ছেড়ে দেয়।
৪. অনেক হাজী দো‘আর সময় ক্বেবলাকে পেছনে, ডানে কিংবা বাঁয়ে রেখে পাহাড়ের দিকে মুখ ফিরায়। অথচ সুন্নাত হলো পাহাড়কে আপনার ও ক্বেবলার মাঝখানে রাখা যদি তা সম্ভব হয়। আর যদি তা সম্ভব না হয় – অত্যাধিক ভীড়ের কারণে এ দিনগুলোতে সচরাচর এমনই হয় -  তাহলে সুন্নাত হলো দো‘আর সময় আপনার সামনে পাহাড় না থাকলেও ক্বেবলামুখী হওয়া।
৫. সূর্যাস্তের পূর্বেই কোন কোন হাজী ‘আরাফা থেকে চলে যায়। এমনটি জায়েয নেই। হাজীদের উচিত হল যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য অস্ত না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ‘আরাফা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করত: বের না হওয়া, যিনি হজের কাজ পালনকালে বলেছিলেন :
«خُذُوا عَنِّى مَنَاسِكَكُم»
“আমার কাছ থেকে তোমরা হজের বিধান গ্রহণ কর”।
৬. কোন কোন হাজী ‘আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন কালে তাড়াহুড়ো করে এবং তালবিয়া পাঠ থেকে বিরত থাকে। তার সমস্ত আগ্রহ হল – কত দ্রুত মুযদালিফায় পৌঁছতে পারবে। অথচ উত্তম হল-হাজী সাহেব ধীর -স্থির ও শান্তভাবে পথ চলবেন। তাড়াতাড়ি করার স্থানে তাড়াতাড়ি করবেন এবং ভীড়ের স্থানে শান্ত ভাবে এগুবেন। প্রত্যেকটি স্থানে তার শ্লোগান হবে তালবিয়া।